শিশুর জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ-

🧑‍🤝‍🧑 শিশুর জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ-
👶 পূর্বের পোস্ট এ মাতৃগর্ভ থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর যে পারস্পরিক ক্রিয়ামূলক যত্নের কথা বলা হচ্ছে, তার জন্য প্রয়োজন নিরাপদ ও সহায়ক, সামাজিক এবং বস্তুগত পরিবেশ।


👉 সামাজিক পরিবেশ
• গর্ভকালীন , প্রসবকালীন ও প্রসবােত্তর মায়ের সঠিক যত্ন নেয়া ;
• গর্ভবতী মাকে ভারী কাজ থেকে বিরত রাখা ও মানসিক প্রশান্তিতে রাখা ;
• নিরাপদ প্রসব এবং জরুরি প্রসূতি সেবার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি রাখা ;
• বুকের দুধ খাওয়ানাের ব্যাপারে ‘ মা’কে সাহায্য করা ;
• শিশুর জন্মের পর পরই শাল দুধ , ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধ ও পরবর্তীতে বাড়তি খাবার দেয়া ;
• সময়মত প্রতিরােধ ব্যবস্থা ও চিকিৎসা গ্রহণ যেমন-৯ টি রােগের টিকা দেয়া ;
• অসুস্থ হলে সময়মতাে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা ;
• পরিবারের সবার মাঝে পারস্পরিক বােঝাপড়া থাকা ;
• শিশুর মতামত প্রকাশের সুযােগ করে দেয়া ;
• শিশুর প্রতি পরিবারের সবার খেয়াল রাখা ;
• অন্য শিশুদের সাথে মিশতে বা খেলতে দেয়া ।
👉 বস্তুগত পরিবেশ
• নিরাপদ পানি ;
• স্বাস্থ্যসম্মত পরিচ্ছন্ন পরিবেশ;
• শিশুর জন্য পর্যাপ্ত খেলাধুলা ও বিনােদনের ব্যবস্থা করা ;
• শিশুর বয়স উপযােগী শেখার পরিবেশ সৃষ্টি করা ;
• সৃজনশীল কর্মকান্ডের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করা ;
• ছেলে বা মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে একই রকম যত্ন নেয়া ও আচরণ করা ;
• ঔষধপত্র এবং ঝুঁকিপূর্ণ/ক্ষতিকারক দ্রব্যাদি শিশুর নাগালের বাইরে রাখা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart